ফুটবল

দ্য ব্রুইনের চার গোলে ভয়ঙ্কর ম্যান সিটি


শেষ পর্যন্ত ইপিএল খেতাব যাবে কাদের দখলে? চব্বিশ ঘণ্টা আগে অ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়ে হুঙ্কার দিয়েছিল লিভারপুল। বুধবার পাল্টা জবাব উড়ে এল ম্যাঞ্চেস্টার সিটির তরফেও। উলভসকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রাখল পেপ গুয়ার্দিওলার দল।

 

তার চেয়েও বড় ব্যাপার, ম্যাচের চারটি গোলই এল বেলজিয়াম তারকা কেভিন দ্য ব্রুইনের পা থেকে। ম্যাচের সাত মিনিটে প্রথম গোল দিয়ে যাত্রা শুরু ব্রুইনের। ২৪ মিনিটের মধ্যে তিনি সেরে ফেলেন হ্যাটট্রিক। দ্বিতীয় গোল আসে ১৬ মিনিটে। তখনই ম্যাচের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। ৬০ মিনিটে একক কৃতিত্বে দলের এবং নিজের চার নম্বর গোলটি করে যান ব্রুইন। ৮৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে যান রাহিম স্টার্লিং। এই জয়ের সুবাদে ৩৬ ম্যাচে ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরেই রইল ম্যান সিটি। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে লিভারপুল ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে রইল দু’নম্বরে।

 

এ দিন অন্য ম্যাচে চেলসি ৩-০ গোলে হারিয়েছে লিডস ইউনাইটেডকে। দলের পক্ষে গোল করেন ম্যাসন মাউন্ট, ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ এবং রোমলু লুকাকু। ৩৬ ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরেই রইল চেলসি। এক ম্যাচ কম খেলে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে রয়েছে আর্সেনাল। শনিবার এফএ কাপ ফাইনালে লিভারপুলের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে রাখল টমাস টুহলের দল।

 

মঙ্গলবার সাদিয়ো মানের গোলে অ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়ে কার্যত পেপ গুয়ার্দিওলার দলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন য়ুর্গেন ক্লপ। লিভারপুল ম্যানেজার জানিয়ে দিলেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁর দল স্বস্তিতে থাকতে দেবে না ম্যান সিটিকে। ক্লপ বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে দল যে ফুটবল খেলছে, তা আমার কাছেও অকল্পনীয় বলে মনে হচ্ছে। এত দৃঢ় মানসিকতা এই দল অর্জন করে ফেলেছে, তাতে ইপিএল খেতাব জেতার বিশ্বাস জোরালো হয়ো গিয়েছে। শেষ ম্যাচ পর্যন্ত ম্যান সিটিকে চাপের মধ্যে রেখে দেবই।’’

 

মঙ্গলবার ম্যাচের তিন মিনিটে ডগলাস দিয়াজ় গোল করে ভিলাকে এগিয়ে দেন। কিন্তু তিন মিনিট পরেই ১-১ করেন লিভারপুলের জোয়েল ম্যাটিপ। ৬৫ মিনিটে জয়ের গোল সাদিয়ো মানের।

 

আগামী শনিবার এফএ কাপ ফাইনালে লিভারপুল খেলবে চেলসির বিরুদ্ধে। ক্লপ বলে দিয়েছেন, ‘‘কাউকে করুণ দেখানোর মতো মানসিকতা আমাদের নেই। খেতাবি লড়াইয়ে নিজেদের সমস্ত শক্তি উজাড় করে দেবে লিভারপুল। একই সঙ্গে দলের শক্তি এবং ক্ষমতাকে আরও ভাল ভাবে যাচাই করে নিতে চাই। মরসুমে চার খেতাব জয়ের হাতছানি রয়েছে লিভারপুলের সামনে। সেই সুযোগ হাতছাড়া করার প্রশ্নই ওঠে না। ফুটবলাররা এখন নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে রয়েছে।’’

 

ম্যাচের পরে সাদিয়ো মানে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে লিভারপুলকে ট্রফি দেওয়া ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই পারছেন না। প্রসঙ্গত ব্রিটিং সাংবাদমধ্যমের খবর, নতুন মরসুমে সেনেগাল তারকা যোগ দিতে পারেন বায়ার্ন মিউনিখে। তাঁর এজেন্টের সঙ্গে কথবার্তাও শুরু হয়েছে মানের এজেন্টের। যদিও মানে বলেছেন, ‘‘এই ক্লাবে খুব আনন্দেই রয়েছি। আর এই মুহূর্তে ট্রফি জেতা ছাড়া কোনও বিষয়কেই প্রাধান্য দিতে পারছি না। সারা মরসুম জুড়ে যে ফুটবল আমরা খেলেছি, তাতে চ্যাম্পিয়ন না হতে পারলে সমস্ত লড়ই বৃথা হয়ে যাবে।&r