ক্রিকেট

‘আমার ১৫০, সৌম্যর ১২০ কিংবা বৃষ্টিই বাঁচাতে পারে আমাদের’


আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে কঠিন এক লক্ষ্য বাংলাদেশের সামনে। শেষ দিনে চার উইকেটের বিনিময়ে করতে হবে ২৬২ রান। যার এক কথায় অসম্ভব। তবু সাকিব স্বপ্ন দেখছেন। ক্রিকেটেতো কত কিছুই হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ‘দুনিয়াতে কিছুই অসম্ভব নয়। দেখা যাক না কি হয়। আরেকটা আছে বৃষ্টি। ওটাও আমাদের বাঁচাতে পারে। বেশ কয়েকটা পথ আছে। এখন বাকিটা দেখা যাক। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের রান করতে হবে। আমাদের দুইজনের সেঞ্চুরির করতে হবে। একজনের ১২০, আরেকজনের ১৫০ করা লাগবে(হাসি)।

কার্ডিফে গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পঞ্চম উইকেট জুটিতে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর জোড়া সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছিল বাংলাদেশ। এমন কিছু কি টেস্টের পঞ্চম দিনে সম্ভব, ‘কার্ডিফ ফিরতে অন্য পাশে কাউকেতো থাকা লাগবে। জিততে হলে দুইজনকেই রান করা লাগবে। আমি যদি ১৫০ করি ওর (সৌম্য) অন্তত ১২০ তো করা লাগবে। তারপর আমরা জিততে পারব। অসম্ভব না কিন্তু অনেক কঠিন কাজটা!’
কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে পঞ্চম দিনে সত্যিই দূরহ ২৬২ রান করা। সেটা সাকিবও বোঝেন। তাইতো বাস্তবিক রেজাল্টের কথা জানাতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করার ঘোষণা দিয়ে গেলেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক, ‘বাস্তব অর্থে এই ম্যাচে হারের খুব কাছকাছি আমরা। একমাত্র বৃষ্টি এবং আল্লাহ রহমত আমাদের দুইজনের উপর না পড়লে হারার সম্ভাবনাই বেশি। এখানেও আসলে একটা চ্যালেঞ্জ থেকে যায়। আমরা যে ৪ জন বাকি আছি, তারা যদি কিছু একটা করে দেখাতে পারি। কিছু করতে না পারলেও, লড়াই করার মানসিকতা দেখাতে পারি। হয়তো হারতে পারি, তবে ওই যে লড়াই করার যে একটা ছাপ, সেটা যেনো আমরা দেখাতে পারি।’

টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন সাকিব। আজও এলেন। বোঝাই যাচ্ছিল, কতটা চাপে আছেন তিনি। এমন চাপের একটি দিন কাটিয়ে একদম হাসিমুখে সাকিব! নিজের চাপ ও সতীর্থদের চাপ কমানোর জন্যই তিনি সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন। কতটা চাপে আছেন. এমন প্রশ্ন দিয়েই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছিল। সাকিবের সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই, যে ধরনের ম্যাচ আমরা আশা করছিলাম তার পুরো বিপরীত। স্বাভবিকভাবেই চাপ তো থাকবেই। আমার আসাটা টিমমেটদের ওপর থেকে চাপ কমানোর একটা ওয়ে, এটা বলতে পারেন। কিন্তু মাঠের চাপ তো থাকবেই, যতদিন ক্রিকেট খেলব ততদিনই থাকবে।’