ত্রিদেশীয় সিরিজ

দর্শক কোটায় ইয়াসির-নাঈম


ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষের পথে, কিন্তু এখনও জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ হয়নি দুই তরুণ ক্রিকেটার ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি এবং নাঈম হাসান। অথচ বিশ্বকাপের আগে এই তরুণদের পরখ করে দেখার জন্যই ১৭ সদস্যের ত্রিদেশীয় সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করেছিলেন নির্বাচকরা। শেষ পর্যন্ত দর্শক হয়েই রয়ে গেলেন তাঁরা। শুক্রবার উইন্ডিজদের বিপক্ষে সিরিজের ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে ইয়াসির-নাঈমদের দেখার সুযোগ ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। কিন্তু সেই সুযোগও পেলেন না তাঁরা। গত ১৬ই এপ্রিল বিশ্বকাপ এবং ত্রিদেশীয় সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণার সময় সবাইকে চমকে দিয়ে ইয়াসির এবং নাঈম নাম ঘোষণা করেছিলেন দলের ১৬ এবং ১৭তম সদস্য হিসেবে। সে সময় অনেকেরই প্রশ্ন ছিল খেলানো হবে কিনা এই দুইজনকে। প্রধান নির্বাচক নান্নু উত্তরে বলেছিলেন, 'অবশ্যই তাঁদেরকে খেলানো হবে। তাঁদেরকে দেখার জন্যই ১৭ জনের দল ঘোষণা করেছি আমরা।' কিন্তু কথা কাজের মিল পাওয়া গেল না একদমই। যদিও এমন দল নির্বাচন নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশের দল নির্বাচনের পর এমন দর্শক হয়ে ছিলেন আরও অনেকেই। ব্যাটিং অলরাউন্ডার আরিফুল হক ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম দর্শক। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বাংলাদেশ দলের টি-টুয়েন্টি স্কোয়াডে ডাক পেয়েছিলেন আরিফুল হক। যদিও ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই সিরিজেই অভিষেক হয়েছিল তাঁর। মার্চে নিদাহাস ট্রফিতেও টাইগারদের স্কোয়াডে ছিলেন আরিফুল। কিন্তু সেখানে কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজে দলে জায়গা পেয়েছেন তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। সম্পূর্ণ টর্নামেন্ট দর্শক হয়ে ছিলেন আরিফুল। একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে অভিষেক হয় আরিফুলের। টেস্ট অভিষেকও হয় জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়েই। জাতীয় দলের হয়ে একটি ওয়ানডে, দুটি টেস্ট এবং ৯টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে আরিফুলের। যেখানে ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালে খেলা বাংলাদেশ দলের সবগুলো সিরিজের স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। মনস্তাত্ত্বিকভাবেই নিজেকে দর্শক কোটায় ধরে নিয়েছেন আরিফুল। ইয়াসির-নাঈমদের নিয়ে দর্শক বানিয়ে রাখা যেহেতু এটাই প্রথম নয় বাংলাদেশ নির্বাচকদের। সুতরাং এর শেষটা অলিখিত ভবিষ্যতের দিকেই রেখে দেয়া যায়।