ক্রিকেট

ব্যাটিং অর্ডারে এমন অদল-বদলের ব্যাখা দিলেন সাকিব


জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ৩৯৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল আফগানিস্তান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিশেষ কিছু করার বিকল্প ছিল না সাকিবদের সামনে। যা আগের দিন রাতে টিম মিটিং আলোচনা হয়েছিল।

সেই আলোচনার রেজাল্টই হচ্ছে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং অর্ডার এমন অদল-বদল। এ ব্যাপারে সাকিব বলেছেন, ‘চারশো চেজ করতে গেলে আপনাকে ভিন্ন কিছু করতে হবে। আমরা তো কখনো চারশো চেজ করিনি। যদি দুইশো চেজ করতাম আমাদের ব্যাটিং অর্ডার ওরকমই থাকত। যেহেতু চারশো চেজ করছিলাম আমাদের কিছু করবার দরকার ছিল। ভালো করার ইচ্ছাতেই পরিকল্পনাগুলো করা হয়। চারশো চেজ করতে গেলে ১৩০ ওভার চোখ বন্ধ করে খেলতে হবে। ১৩০ ওভার ব্যাট করা চাট্টিখানি কথা না। আমাদের ওই প্লান ছিল সেকেন্ড নিউ বল যখন ওরা ফেস করবে, তখন খেলা আমাদের হাতে থাকার মত অবস্থায় থাকবে। এই কারণে আমরা অনেক প্লান করি। সৌম্যকে এই কারনেই নিচে রাখা হয়েছিল। প্লানিং আসলে কখনো ভুল হয় না কিংবা ঠিক হয় না। প্লানিং যখন সফল হয় তখন ওটা ঠিক, যখন সফল হয় না তখন ওটা ভুল।’

সাকিব অবশ্য আরও একটি যুক্তি দিয়েছেন ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তনের। জয়ের জন্য মরিয়া হওয়ার পাশাপাশি কিছু পরিবর্তন এনে ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার হয়েছে বলে জানালেন সাকিব, ‘দুইটাই বলতে পারেন। কারণ, নতুন বলে স্বাভাবিকভাবেই দুজন বাঁহাতি থাকলে নবী ভাই চলে আসে। নবী ভাইকে আমরা অনেকদিন ধরেই চিনি, উনি বাঁহাতির বিপক্ষে অনেক কার্যকর। তাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিলো নতুন বলটা মোকাবেলা করা। ৪০০ করতে গেলে টপ ফোরের কাউকে ১৫০-২০০ রান করতে হতো। ওই জায়গাটায়ই আমরা কিছু একটা করতে চেয়েছিলাম। আজকে মোসাদ্দেক ১০০ করে নটআউট থাকলে, সবাই বলতো, ওয়াও কী দারূণ সিদ্ধান্ত। যেহেতু পারেনি, তাই বাজে সিদ্ধান্ত।

আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, মোসাদ্দেককে সাকিব নামাতে চেয়েছিলেন ওপেনিং! এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেছেন, ‘আমি মোসাদ্দেককে ওপেন করতে পাঠাতে চেয়েছিলাম, ‘সবাই মিলে এই আলোচনার পরে এই প্লান করা হয়েছে। সবাই ভেবেছে এভাবে ব্যাটিং অর্ডার সাজালে ম্যাচ জেতার সুযোগ তৈরি হবে। সকাল বেলা টিম মিটিংয়ে এই পরিকল্পনা সেট করে আমরা মাঠে এসেছি। এই বিশ্বাসটা সবার মধ্যেই ছিল। শুধু আমার সিদ্ধান্ত হলে মোসাদ্দেক আর লিটন ওপেন করতো।’