ক্রিকেট

ব্যাটসম্যান থেকে লেগ স্পিনার হয়ে জাতীয় দলে বিপ্লব


বাংলাদেশের ৬৫ নম্বর ক্রিকেটার হিসেবে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অভিষেক হলো বিপ্লবের। এখনো প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলেও ১৯টি লিস্ট ‘এ ম্যাচ এবং দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে বিপ্লব খেলেছেন একজন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে। ওই পজিশনে খেলে বেশ সাফল্যও পেয়েছেন তিনি। আমিনুলের সেরা সিরিজ কেটেছে ২০১৫ সালে। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিবিএ) বিপক্ষে তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। দুর্ভাগ্য তার, শেষ ম্যাচে ৯৬ রান করে আউট না হলে সেঞ্চুরির সংখ্যা হতো চারটি। এরপর অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেটে ৭ ম্যাচে ৫৫০ রান করার পাশাপাশি ১৬ উইকেট নিয়েছিলাম বল হাতে। সেবার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কারণে টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছিলেন।

কিন্তু বয়সভিত্তিক ক্রিকেট পেরুনোর পর খুব একটা বোলিং করার সুযোগ পাননি তিনি। ১৯টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে মাত্র তিনটি উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার হিসেবে সুযোগ পাওয়া এই ক্রিকেটার। এই অবস্থায় বিপ্লবের দলে সুযোগ পাওয়ার মূল কারন ছিল প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর চাহিদা। গত কিছুদিন ধরেই প্রধান কোচ একজন লেগ স্পিনার খুঁজছিলেন। নির্বাচকরা তার বোলিংয়ে মুগ্ধ হয়েই তাকে সুযোগ করে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেছেন, ‘এইচপিতে থেকে বোলিংয়ের ধার অনেকটাই বেড়েছে আমিনুলের। কোচ ও অধিনায়কের চাহিদা ছিল। সেই চাহিদা মেনেই আমরা একজন লেগ স্পিনারকে দিয়েছি। ব্যাটিংটা ভালোই পারে। দলে তাকে স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে নেওয়া হয়েছে।’

যদিও জহুর আহমেদে প্রথম দিনের নেটে পছন্দ হওয়ার মতো কিছু করে দেখাতে পারেনি বিপ্লব। তরুণ নাঈম শেখের বিপক্ষে যেভাবে ছন্নছাড়া বোলিং করেছেন, তাতে খুশি হওয়ার কিছু ছিল না। লেন্থ মিস করে প্রচুর আলগা বল দিয়েছিলেন, সেই সঙ্গে ফুলটস বলতো ছিলই। ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষায় খুব কমই ফেলতে পেরেছেন শরীয়তপুর থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটার। হয়তো স্মায়ুর চাপে পড়েই, গড়বর করেছেন! পুরো সময়টাতে বিপ্লবের বল পাখির চোখে পরখ করেছিলেন ডোমিঙ্গো।