ত্রিদেশীয় সিরিজ

অপরাজেয় থেকেই ফাইনালে বাংলাদেশ


ত্রিদেশীয় সিরিজে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। আয়ারল্যান্ডের দেয়া ২৯৩ রানের লক্ষ্য ৪২ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে টাইগাররা। ফলে অপরাজেয় থেকেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। এই দুজনে যোগ করেছেন ১১৭ রান। ৫৭ রান করা তামিমকে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙেছেন বয়েন রেনকিন। এরপর সাকিবের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ওপেনার লিটন দাস। সৌম্য সরকারের বদলি হিসেবে খেলতে নেমে লিটন ৬৭ বলে ৭৬ রান করে আউট হয়েছেন ব্যারি ম্যাকার্থির বলে বোল্ড হয়ে। সাকিব ও মুশফিক তৃতীয় উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়েন। ৩৫ রান করা মুশফিককে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙেছেন রেনকিন। সাকিব ৫১ বলে ৫০ রান করে সাইড স্ট্রেইনের চোটে মাঠ ছেড়েছেন। শেষ দিকে মোসাদ্দেক দ্রুতই ফিরে যান ১৪ রান করে। তিনি মার্ক অ্যাডায়ারের শিকার হন। তবে মাহমুদুল্লাহ ও সাব্বির রহমান দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। মাহমুদুল্লাহ ৩৫ ও সাব্বির ৭ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। এর আগে, টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয় নি আইরিশদের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ম্যাককলামকে সাজঘরে পাঠান চলতি সিরিজে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা পেসার রুবেল হোসেন। শুরুতে উইকেট হারালেও তিন নম্বরে নামা আন্ড্রু বালবিরনি সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন স্টার্লিং। বালবিরনি ইনিংসের ১১তম ওভারে মুশফিকুর রহিমের হাতে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট তুলে নেন আবু জায়েদ রাহি। দুই উইকেট হারিয়ে বসা আইরিশরা এরপর দেখে শুনে খেলতে থাকেন। অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ১০০ রানের পুঁজি এনে দেয়ার পাশাপাশি ফিফটি তুলে নেন স্টার্লিং। ফিফটি হাঁকানোর পর সাকিব আল হাসানের প্রথম ওভারেই সাইফুদ্দিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। সেই ক্যাচ সাইফ লুফে নিতে ব্যর্থ হলে জীবন পেয়ে রানের গতি বাড়াতে থাকেন স্টার্লিং। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দেন অধিনায়ক পোর্টারফিল্ড। দুজন মিলে ১৮৪ রানের জুটি গড়ে আইরিশদের বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন। ব্যক্তিগত ৯৪ রানে রাহির দ্বিতীয় শিকার হয়ে পোর্টারফিল্ড ফিরে গেলেও দ্রুত রান তুলতে থাকেন স্টার্লিং। ইনিংসের ৪৭তম ওভারে জোড়া আঘাত হানার পাশাপাশি স্টার্লিংকে ১৩০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেন রাহি। ৪৯তম ওভারের চতুর্থ বলে উইলসনকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ উইকেট পাওয়ার পাশাপাশি ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের জন্য নিজের টিকিটটাও অনেকখানি নিশ্চিত করেন এই পেসার। শেষ ওভারে সাইফুদ্দিন ২ উইকেট তুলে নিলে ৩০০ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৮ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে ইনিংস শেষ করে আয়ারল্যান্ড। ৯ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন রাহি। সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ আয়ারল্যান্ডঃ ২৯২/৮, ৫০ ওভার (স্টার্লিং ১৩০; রাহি ৫/৫৮) বাংলাদেশঃ ২৯৪/৪ (৪৩ ওভার) (লিটন ৭৬, তামিম ৫৭, সাকিব ৫০)