ক্রিকেট

এই ট্রফি দিন বদলের বার্তা দিচ্ছে


বাংলাদেশের ক্রিকেটের আক্ষেপ হয়ে থাকা বিশ্বকাপ ট্রফি এসেছে তরুণদের হাত ধরে। অদূর ভবিষ্যতে শুরুর এই পথ ধরে ভবিষ্যতে আরও ট্রফি আসবে বাংলাদেশ, এমন ভাবনা যেতেই পারে! চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক আকবরও এটাকে শুরু হিসেবেই দেখছেন, ‘সব কিছুর একটা শুরু দরকার। আমি বলবো এটা (ট্রফি জয়) আমাদের ক্রিকেটে সামনে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করবে। আমি আশা বাদী বিশ্বকাপ জয় সকল ক্রিকেটারকে উৎসাহী করবে ভালো খেলতে।

সাকিব-মুশফিকরা বেশ কয়েকবার ট্রফির কাছে গিয়ে ফিরে এসেছিল। বেশ কটি এশিয়া কাপের ফাইনাল হারের বেদনা নিয়েই ঘরে ফিরতে হয়েছিলো বাংলাদেশের। আকবরদের নতুন শুরুর পর হয়তো বদলে যাবে এই চিত্র। ক্রিকেটভক্ত থেকে শুরু করে ক্রিকেট সংগঠকরা এই মুহুর্তে এভাবেই ভাবছেন। সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান পরিচালক জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত সকল ক্রিকেটারদের উজ্জিবিত করবে। সিনিয়র লেভেলের ক্রিকেটারদের মধ্যেও ভাবনা আসবে। সবমিলিয়ে সত্যিকার অর্থেই এই ট্রফি আমাদের উজ্জিবিত করবে।

বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপনই সংবাদ সম্মেলনে তেমনটা বললেন, ‘মেয়েরা এশিয়া কাপ জিতেছে, অনূর্ধ্ব-১৯ দল বিশ্বকাপ জিতলো। জাতীয় দলেরও জেতা সম্ভব। হয়তো কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। এই জয়ের পর হয়তো আমাদের ওই লক্ষ্যের দিকেই এগুতে হবে।’
পুরো দুই বছর শামীম-আকবরদের দীক্ষা দিয়ে এসেছেন প্রধান কোচ নাভিদ নেওয়াজ। আকবরদের সাফল্যের পেছনের প্রধান কারিগর তিনিই। বাংলাদেশকে ট্রফি এনে দিতে পেরে দারুন উচ্ছ্বাসিত নাভিদ, ‘দুই বছর ধরে ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। এই পরিশ্রমের পুরষ্কারই এই সাফল্য। বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচেই ভিন্নভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে নামতে হয়েছিলো আমাদের। ছেলেরা মাঠে সেই পরিকল্পনাগুলো খুব ভালো ভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। আমার বিশ্বাস এই সাফল্য বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা এনে দেবে।

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে সাফল্য পাওয়া অনেক ক্রিকেটারই হারিয়ে যান খুব সহজেই। বিশ্ব ক্রিকেটের পাশাপাশি বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন উদহারণ আছে। মাহমুদুল হাসান লিমন, সোহান গাজীর মতো বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার যুব দলের হয়ে দারুন পারফরম্যান্স করেছেন। কিন্তু মূল স্টেজে কেউ কেউ পারফরম্যান্স খেললেও নিজেকে বিকোশিত করতে পারেননি। অন্যদিকে অনেকে আবার হারিয়ে গেছেন। বিশ্বকাপজীয় অধিনায়ক এ বিষয়ে ভিন্নভাবে ভাবছেন, ‘আমি মনে করি বয়সভিত্তিক ক্রিকেট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। বোর্ড আমাদের যেভাবে পরিকল্পনা দেবে সেভাবে আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে গ্যাপটা পূরণ করতে হবে। আপনারা জানেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাজটা কঠিন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সঙ্গে এর পার্থক্য অনেক।

বিমানবন্দর থেকে মিরপুর এসেই বোর্ড সভাপতির সঙ্গে ক্রিকেটারদের বৈঠক হয়। সেখানে তরুণ ক্রিকেটারদের বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি। আকবর জানালেন, ‘আমাদের বোঝানো হয়েছে আমরা কেউ যেন হেলায় গা ভাসিয়ে না দেই। আমরা যেন পরবর্তী ধাপের জন্য তৈরি হতে পারি। আমাদের ম্যানেজমেন্ট আমাদের আরও উন্নতি কিভাবে করা যায় সেই ম্যাসেজ দিয়েছে। আমরা ট্রফি জেতার পর আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে চাই না।