ক্রিকেট

ঝুলে আছে উমর আকমলের ভবিষ্যৎ


ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) সহায়তা না করায় তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন উমর আকমল। তবে পিসিবির এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি পাকিস্তানের প্রতিভাবান এই ক্রিকেটার। আর তাই এই শাস্তির বিপক্ষে আপিলও করেছিলেন এই উমর আকমল।

আপিলের শুনানি শেষে ১৩ জুলাই এর রায় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুনানি শেষ হলেও রায় প্রকাশ করেননি সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ফকির মুহাম্মদ খোকর। স্বাধীন বিচারক হিসেবে এই আপিলে কাজ করা বিচারপতি খোকর আগের রায়টি বিবেচনায় এনে বর্তমান রায়টি সংরক্ষণ করেছেন। তবে দুপক্ষের শুনানি থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এখন কেবল রায় প্রকাশের অপেক্ষা। রায় প্রকাশ না করায় পিসিবিও এই ক্রিকেটারের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

দুর্নীতি দমন ইউনিটকে সহায়তা না করায় গত ২৭ এপ্রিল উমর আকমলকে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা দেন পিসিবির শৃঙ্খলা কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি (অব.) ফজল-ই-মিরান চৌহান। দুর্নীতি দমন কোডের ২.৪.৪ এর আওতায় তাঁর বিরুদ্ধে দুটি চার্জ গঠন করেছিল পিসিবি। যেখানে বলা হয়েছিল, ‘পিসিবির নজরদারি ও সুরক্ষা বিভাগকে দুর্নীতিমূলক আচরণে সহায়তা না করা এবং প্রয়োজনীয় তথ‌্য দেরি করে দেয় উমর আকমল।’

১৭ মার্চ উমর আকমলের বিরুদ্ধে এ চার্জ গঠন করা হয়। সেখানে তাকে ১৪ দিনের সময় দেওয়া হয় আত্মপক্ষ সমর্থন করে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য। কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেটার আইনি লড়াইয়েও যাননি এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের আবেদন করেননি। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, পিসিবি শাস্তির অপেক্ষায় রয়েছেন এ ক্রিকেটার।

পাকিস্তানের হয়ে ২২১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা উমর আকমল এর আগে ফিটনেস ট্রেনারের সঙ্গে বাজে আচরণ করে নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হন। ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ হওয়ায় পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল) খেলতে পারেননি। পাকিস্তানের হয়ে উমর সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন ২০১৯ সালের অক্টোবরে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে।