ক্রিকেট

৪০৮ দিন পর ম্যাচ খেলতে নামছেন সাকিব


বছরের হিসেবে ১ বছর এক মাস ১১ দিন, মাসের হিসেবে ১৩ মাস ১১ দিন, সপ্তাহের হিসেবে ৫৮ সপ্তাহ দুই দিন। সবমিলিয়ে ৪০৮ দিন ম্যাচের বাইরে সাকিব। অবশেষে আসলে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সাকিব ভক্তদের অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার বিকালে। এদিন মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে জেমকন খুলনার জার্সিতে ২২ গজে নামবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এই দিনটিকে সাকিব ও বাংলাদেশের জন্য বড় দিন হিসেবে দেখছেন তারই সতীর্থ তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ

মঙ্গলবার সব অপেক্ষা পাশে ঠেলে ম্যাচ খেলবেন সাকিব। গত কয়দিন ধরে নিজেকে ফিরে পেতে ঘাম জড়াচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার থেকে জেমকন খুলনার জার্সিতে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মাঠে দেখা যাবে সাকিবকে। এতদিন ঘাম ঝরানো অনুশীলন করা বাঁহাতি অলরাউন্ডার বেশ ফুরফুরে। সাকিবকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল প্রস্তুতি পর্ব খুব ভালোভাবে সেরে নিয়েছেন! আগামীকাল তামিমের ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে লড়বে সাকিব-মাহমুদউল্লহরা। আজ অনুশীলন শুরুর আগে তামিমের সঙ্গে খানিক স্বাক্ষাৎ হয়েছে সাকিবের। অনুশীলনের মাঝে দুই-এক মিনিটের আলাপ চলে দুই জনের মধ্যে। সাকিবের জন্য মঙ্গলবারের দিনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটি বোঝা গেলো তামিমের কথাতেই, ‘আমি নিশ্চিত ওর (সাকিব আল হাসান) জন্য অনেক বড় দিন। কারণ এক বছর পর সে মাঠে ফিরছে। ওর জন্য বড় দিন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একটা গুরুত্বপুর্ণ দিন। কারণ, ওর ক্যালিবারের মত প্লেয়ার ফেরত আসছে। আমি নিশ্চিত ওর ভক্তরা ওকে দেখার জন্য মুখিয়ে থাকবে। যেহেতু আমার জন্য এটা একটা খেলা, আমি চেষ্টা করবো ও যত কম ইমপ্যাক্ট যাতে ফেলতে পারে। দিনশেষে আমি খুশি যে ফিরছে, আমি নিশ্চিত সে খুব ভালো ভাবেই ফিরবে।’

এদিকে জেমকন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও সাকিবের প্রত্যাবর্তন ম্যাচ নিয়ে দারুন আশাবাদি, ‘আমি বিশ্বাস করি ও (সাকিব) প্রথম ম্যাচেই নিজেকে মেলে ধরতে পারবে। ওর মধ্যে ওই ক্ষুধাও আমি দেখেছি। আমার মনে হয় সাকিব ভালো করতে খুব উদগ্রীব হয়ে আছে। ’একই দলের হয়ে খেলতে পেরে মাহমুদউল্লাহ উচ্ছ্বাসটা আরও বেশি, ‘দারুন অনুভূতি। আমরা সবাই জানি সাকিবের গুরুত্ব কতটুকু, সেটি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে হোক কিংবা ঘরোয়াতে হোক। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা সবাই খুশি ও আবার ক্রিকেটে ফিরছে এবং আমাদের দলের হয়ে খেলছে।’মুশফিকও মনে করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সাকিবের ফেরাটা অনেক বড় ব্যাপার। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘এটা তো অবশ্যই বড় একটা বিষয়। কেবল আমি না পুরো বিশ্ব ক্রিকেটই অপেক্ষা করছে। সাকিব নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার এবং আমাদের নম্বর ওয়ান প্লেয়ার।’মুশফিক মনে করেন সাকিবের কাছ থেকে তরুণ ক্রিকেটারদের অনেক কিছু শেখার আছে, ‘তরুণ ক্রিকেটার যারা আছেন তার বিপক্ষে কিংবা তাদের সঙ্গে খেলে অনেক কিছু শিখতে পারবে। আমার মনে হয়, ভবিষ্যতও খুব কাজে দিবে। যেহেতু এবার কোনো বিদেশি খেলোয়াড় নেই, স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য ভালো সুযোগ তার সঙ্গে শেয়ার করা এবং অনেক কিছু শেখার।’মুশফিক আরও বলেছেন, ‘আশা করছি সাকিব ভালো খেলবে। আমাদের সঙ্গে ছাড়া যাতে অন্য সবার সঙ্গে ভালো খেলে সেই কামনা করি।’