ক্রিকেট

বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের পরিসংখ্যান


মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তান সফরে লম্বা সময়ের জন্য যেতে সবুজ সংকেত দেয়নি বাংলাদেশ সরকার। তাই এতদিন ধরে ঝুলে ছিল বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর ভাগ্য। অবশেষে মঙ্গলবার দুবাইয়ে আইসিসির হেড কোয়ার্টারে বসেন দুই দেশের বোর্ড প্রেসিডেন্ট। শশাঙ্ক মনোহরের উপস্থিতিতে ১২ বছর পরে পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হলো বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৩ সালে ৩ ম্যাচের টেস্ট ও ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। এছাড়া ২০০৮ সালে সফরে গিয়ে ৫টি ওয়ানডে ও ১ টি-টোয়েন্টি খেলে টাইগাররা। এছাড়া ২০০৮ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের মাটিতে এখন পর্যন্ত কোনো জয় দেখেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এখন পর্যন্ত দলটির বিপক্ষে তাদের মাঠে মোট ১৬টি ম্যাচ খেলে প্রত্যেকটিতে হারে বাংলাদেশ। এর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ২০০৩ সালের মুলতান টেস্ট।

যে ম্যাচে ‘স্পোর্টসম্যানশিপের জন্য’ বলি দিতে হয় জয়। ২৬১ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০৫ রানে ৮ উইকেট হারায় স্বাগতিক পাকিস্তান। ইনজামাম উল হকের ১৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে ম্যাচ জিতে পাকিস্তান। বাংলাদেশের মোহাম্মদ রফিক পাকিস্তানের শেষ ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলীকে ‘মানক্যাডিং’ আউট করার সুযোগ পেলেও শুধু সতর্ক করে ছেড়ে দেন।

এছাড়া ১১টি ওয়ানডের প্রত্যেকটিতে হারে বাংলাদেশ। একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে ১০২ রানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ দল।

পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশের একমাত্র জয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। ২০০৮ সালের এশিয়া কাপে ৯৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এছাড়াও সে এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে একটি ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। ম্যাচগুলোতে হেরে যায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে তাই ২০ ম্যাচে বাংলাদেশ ১৯ হারের বিপরীতে জয় পেয়েছে ১টি।

দীর্ঘ ১২ বছর পর আবার পাকিস্তানের মাটিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ক্রিকেট ইতিহাসের রেকর্ডের পাতায় অনেক ঘষামাজা হয়েছে। পাকিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরেছে। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের ঘরের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের লজ্জায় পড়েছে। এবার পাকিস্তানের মাঠেও সে জয়ের ধারা, বদলে যাওয়া বাংলাদেশের রুপ দেখাবে বলে বিশ্বাস টাইগার ক্রিকেট ভক্তদের।