ক্রিকেট

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে সাগরিকায় ব্যবধান কমালো সাকিবরা


সাগরিকায় ৫ বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হলো। সেই ২০১৪ সালে সবশেষ কুড়ি ওভারের ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছিল। সাগরিকার প্রত্যাবর্তন ম্যাচটি দারুনই হলো। বাংলাদেশ জয়ে দিয়ে সাগরিকার উপস্থিত দর্শকদের আনন্দে ভাসালেন। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচটিতে বাংলাদেশ ৩৯ রানে হারালো জিম্বাবুয়েকে। আর তাতেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠে গেলো স্বাগতিকরা। সাগরিকায় এই জয়ে ৫ ম্যাচের দুটিতে জিতে ব্যবধান কমালো সাকিবরা। এর আগে চার ম্যাচের মধ্যে একটিতে শেষ হাসি হেসে ছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

আগের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে প্রভাব বিস্তার করে জয়ের প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাটে, বলে এবং ফিল্ডিংয়ে প্রভাব বিস্তার করেই শেষ হাসি হাসলো সাকিবের দল। হয়তো এই ম্যাচের জয়ই বদলে দেবে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমকে।

বুধবার টস হেরে আগে ব্যাটিং নামা বাংলাদেশ মাহমুদউল্লাহ বিস্ফোরক ব্যাটিং ১৭৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। দীর্ঘ ২৪ ম্যাচ পর ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি দেখা পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০১৭ সালে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে সর্বশেষ হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এম ফুফুর বলে বিশাল এক ছক্কা মেরে হাফসেঞ্চুরির মাইল ফলকে পৌঁছান মাহমুদউল্লাহ। ৪১ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় তিনি ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া লিটন দাসের ২২ বলে৩৮ ও মুশফিকুর রহিমের ২৬ বলে ৩২ রানের কার্যকরী ইনিংস বড় স্কোর গড়তে সহায়তা করে।

১৭৬ রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ওভারেই সাইফউদ্দিন অভিজ্ঞ ওপেনার ব্রেন্ডন টেইলকে ফিরিয়ে শুভ সূচনা এনে দেন। পরের ওভাবে আঘাত হানেন সাকিব। রেগিস চাকাভাকে ক্লিন বোল্ড করে উচ্ছ্বাসে মাতেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শেন উইলিয়ামনকে ফিরিয়ে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে সহায়তা করেন ২০১৭ সালে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলা পেসার শফিউল ইসলাম। ৮ রানে তিন উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত অবশ্য প্রতিরোধ গড়তে সমর্থ হয়। রিচমন্ড মুতম্বানির ৫৪ ও জার্ভিসের ২৭ রানের ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ১৩৬ রান করতে সমর্থ হন।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তরুণ অভিষিক্ত আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ১৮ রান খরচায় তুলে নেন দুটি উইকেট। দলের সেরা বোলার অবশ্য শফিউল ইসলাম। প্রায় দেড় বছর পর ফিরে, নিজের প্রত্যাবর্তন ম্যাচে দারুন বোলিং করেছেন তিনি। ৩৬ রান দিয়ে তুলে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া মোস্তাফিজ ৩৮ রানে নেন দুটি উইকেট। যার মাধ্যমে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁলেন এই কাটার মাস্টার। এছাড়া সাইফউদ্দিন ও সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট নেন।