ক্রিকেট

সাকিবের ব্যাটে কাটলো আফগান জুজু


চট্টগ্রামে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের ড্রেস রিহার্সেলে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়ে প্রস্তুতি সেরে রাখলো বাংলাদেশ। ১৩৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরুতে আফগানদের দেওয়া ১৩৮ রানের জবাব বাংলাদেশের ব্যাট হাতে শুরুটা ছিল হতাশাজনক। ওপেনিংয়ে কাঙ্ক্ষিত জুটি গড়েনি এবারও। তবে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও সাকিবের লড়াকু এক জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে উঠে বাংলাদেশ। এই জুটিই জয়ের মঞ্চ গড়ে দেয় বাংলাদেশের। ৫৮ রান করে ফেলা এই জুটি ভেঙে দেন করিম জানাত। মুশফিককে বিদায় দেন ২৬ রানে। অবশ্য মাঝের দিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ায় চাপে ছিল স্বাগতিকরা। নতুন নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ৬ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বিদায় দেন রশিদ খান। অথচ হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরি নিয়েও খুঁড়িয়ে বল করেছেন তিনি।

সাব্বির রহমান আজ দলে এসেছিলেন আমিনুল বিপ্লবের বদলে। ভূমিকা রাখতে পারেননি কোনও। ১ রানে ফিরে গেছেন অভিষিক্ত নাভিনের বলে। অপর প্রান্ত এরপরেও থেকেছে অরক্ষিত।এমন অবস্থায় আফিফ হোসেন নামলেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। রশিদের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ২ রানে। তবে সাকিব অপরপ্রান্ত আগলে দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেওয়ায় কক্ষপথেই থেকেছে বাংলাদেশ। সাকিব তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি। ৪৫ বলে অপরাজিত ছিলেন ৭০ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ১টি ছয়। মোসাদ্দেক মিনি ঝড় তুলে ১২ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থেকে জয়কে করেছেন আরও ত্বরান্বিত। ম্যাচসেরাও হয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আফগানদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন রশিদ খান ও নাভিন উল হক।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানদের স্কোরটা বড় হতে পারতো আরও। কিন্তু আফিফের জোড়া আঘাতের পর শুরুর দাপটটা টেকেনি তাদের। তবে জাজাইয়ের বিধ্বংসী ব্যাটিংটা দীর্ঘ হয়নি। ৩৫ বলে ২ ছক্কা ও ৬টি চারে করেছিলেন ৪৭ রান। দশম ওভারে তাকে ফিরিয়েই বাংলাদেশ দলে স্বস্তি ফেরান আফিফ হোসেন। একই ওভারে নতুন নামা আসগর আফগানকেও বিদায় দেন আফিফ। তারপর আর আগ্রাসী রূপে থাকেনি আফগানদের ব্যাটিং।

দ্রুত উইকেট পতনে দিশেহারা আফগানরা ধীরে ধীরে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে ১১৪ রান তুলতেই। তখন ছিল ১৭ ওভার। তবে শেষ দিকে রশিদ খান ও শফিকউল্লাহ দ্রুত গতিতে রান তুললে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান তুলতে পারে আফগানিস্তান।

বাংলাদেশের হয়ে ৩ ওভারে ৯ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন আফিফ হোসেন। একটি করে নিয়েছেন সাইফউদ্দিন, শফিউল, সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান।