ক্রিকেট

মাহমুদউল্লাহদের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তিত বিসিবি


রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ বিকাল। পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহর পর পর দুই বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরত যান নাজমুল হোসেন শান্ত আর নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম। হ্যাটট্রিক বলে মুখোমুখি তখন মাহমুদউল্লাহ। দলও ইনিংস হারের শঙ্কায়। বাংলাদেশের সবচেয়ে সিনিয়র খেলোয়াড় হলেও নাসিমকে হ্যাটট্রিক উপহার দিয়ে মাহমুদউল্লাহ ফেরেন ভীষণ দৃষ্টিকটুভাবে। পাকিস্তানে গিয়ে সাদা পোশাকে বাজে হারের সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের অ্যাপ্রোচ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানালেন, চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালেও। জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে সমাধান বের করতে আগামী বৃহস্পতিবারই সভায় বসবেন তারা।

গত বেশ কিছুদিন থেকেই টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বিবর্ণ। টানা পাঁচ টেস্ট হেরে পাকিস্তানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি বদলায়নি একটুও। রাওয়ালপিন্ডিতেও ইনিংস ব্যবধানে হেরেছেন মুমিনুল হকরা।
পাকিস্তানের ৪৪৫ রানের বিপরীতে দুই ইনিংসে বাংলাদেশ করে যথাক্রমে ২৩৩ ও ১৬৮ রান। প্রথম ইনিংসে মোহাম্মদ মিঠুন পেরিয়েছিলেন ফিফটি। দ্বিতীয় ইনিংসে ওই পর্যন্তও আর কেউ যেতে পারেননি। বোলিং তা-ও মেনে নেওয়ার মতো হলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল পীড়াদায়ক।

বিশেষ করে যাদের উপর ভরসা বেশি, তারাও করেন হতাশ। ওপেনার তামিম ইকবাল প্রথম ইনিংসে ৩ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে থিতু হয়েও ৩৪ রান করে বিলিয়ে দেন নিজের উইকেট। অধিনায়ক মুমিনুল প্রথম ইনিংসে ৩৪ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরেন ৪১ করে। মাহমুদউল্লাহ প্রথম ইনিংসে ২৫ রান করে থিতু হয়ে উইকেট ছুঁড়ে দেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তার আউটের ধরন যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটেই ভীষণ দৃষ্টিকটু। নাসিমের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করে মাহমুদউল্লাহ ক্যাচ দেন স্লিপে। টেস্টে গত ৮ ইনিংসে তার ব্যাটে নেই কোনো ফিফটিও।

মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল জানান, সর্বশেষ টেস্টেও দলের বেহাল দশা চিন্তায় ফেলেছে তাদের, ‘এটা একটা চিন্তার কারণ। বিদেশে আমরা টেস্টে ভালো খেলি না অনেক দিন থেকে। আপনি কীভাবে লাল বলের ক্রিকেট খেলবেন, এটা ঠিক করতে হবে। পরিকল্পনা কীভাবে করছেন, কীভাবে এগুচ্ছেন, এটা কিন্তু বড় বিষয়। পাঁচ দিন খেলার মন মানসিকতা না থাকলে কিন্তু এখান থেকে ফিরে আসা কঠিন। এটা চিন্তার বিষয়। দল ফিরলে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বসে ঠিক করতে হবে করণীয়।

সামনে আছে জিম্বাবুয়ের সিরিজ। তাদের বিপক্ষে খেলতে হবে টেস্ট। নামে-ভারে তারা কম শক্তির দল হলেও ২০১৮ সালে ওদের কাছেই এক টেস্টে হেরে সিরিজ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। এবার কেবল একটাই টেস্ট। এই টেস্টের আগে দলে ব্যাপক অদল-বদল না হলেও কিছু জায়গা নিয়ে নতুন করে ভাবতে পারে বাংলাদেশ। তেমন আভাসই দিলেন মিনহাজুল, ‘বৃহস্পতিবার আমাদের মিটিং আছে এটা নিয়ে। আমরা বসব। দলের জন্য যেটা ভালো, সেটা করা হবে। চাইলেই তো সব খেলোয়াড় বদলে দিতে পারবেন না। কিছু খেলোয়াড় দরকার আছে।