ত্রিদেশীয় সিরিজ

আয়ারল্যান্ডে সব ম্যাচে মুস্তাফিজকে চান না ওয়ালশ


বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ ইনজুরি আক্রান্ত পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ইস্যুতে ঝুঁকি নিতে রাজি নন। বিশ্বকাপের মত বড় আসরে মুস্তাফিজ হবেন বাংলাদেশ দলের অন্যতম হাতিয়ার। যার কারণে শতভাগ ফিটনেস অর্জন না করা পর্যন্ত মুস্তাফিজকে আয়ারল্যান্ড সিরিজে খেলানো নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চান না তিনি। মুস্তাফিজ বর্তমানে ইনজুরি থেকে ফেরার মিশনে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ চলাকালীন সময়ে শাইনপুকুরের অনুশীলনে গোড়ালির ইনজুরিতে পড়েন তিনি। নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর ঢাকা লীগ দিয়ে মাঠে ফিরেই বল হাতে জাদু দেখান এই বাঁহাতি পেসার। চার বছর পর ঢাকা লীগ খেলতে নেমে ৬.৫ বল করে তিন উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ। কিন্তু এক ম্যাচের খেলেই ইনজুরির শিকার হন তিনি। ‘বিশ্বকাপে তাঁকে বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে, যখন সে ফিট হবে। তবে আমি মনে করি না আমরা একজনের ওপর নির্ভরশীল। সাকিব, ম্যাশ ও রুবেল খুবই ধারাবাহিক পারফর্মার। ফিজ ইনজুরির কারণে ভালো অবস্থায় নেই। সে বারবার ইনজুরিতে পড়ছে। সম্পূর্ণ ফিট মুস্তাফিজ একাই ম্যাচ জেতাতে পারে। আমাদের ওকে ফিট অবস্থায় পেতে হবে। ‘আমাদের হাতে কিছু সময় আছে। আমার একটাই চিন্তা, আমাদের ওর ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করা উচিত না। আয়ারল্যান্ডে ওকে বেশি ব্য়বহার করা উচিত হবে না। আয়ারল্যান্ডে বেশি ব্যবহার করলে আবার বিশ্বকাপে সতেজ অবস্থায় পাওয়া যাবে না মুস্তাফিজকে।' চার বছরের ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকবার ইনজুরির সাথে যুদ্ধ করতে হয়েছে মুস্তাফিজকে। ২০১৬ সালে সর্বপ্রথম বড় ধরনের কাঁধের ইনজুরির শিকার হন তিনি। সেবার সাসেক্সের হয়ে টি-টুয়েন্টি ব্লাস্ট খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ে দীর্ঘ ছয় মাস মাঠের বাইরে ছিলেন। ২০১৭ সালে বিপিএলের আগে ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ের গোড়ালির ইনজুরিতেও পড়েন তিনি। গত আইপিএলের শেষ ম্যাচে ফের পায়ের ইনজুরি নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন মুস্তাফিজ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারেননি আইপিএলের ইনজুরির কারণেই। আফগানদের বিপক্ষে মুস্তাফিজবিহীন বাংলাদেশকে ধবল ধোলাই এর লজ্জা পেতে হয়।