ক্রিকেট

করোনার সঙ্গে সাকিবের যুদ্ধ


ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জাতীয় দলের সিরিজ বাদ দিয়ে আইপিএলকে বেছে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এবারের আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে মাঠ মাতাবেন তিনি। মাঠে নামার প্রস্তুতির পাশাপাশি করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছেন সাকিব !

আজ বৃহস্পতিবার করোনার বিপক্ষে ‘যুদ্ধরত’ সাকিব একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে দেখা গেছে করোনা থেকে বাঁচকে নিজেকে পুরোপুরি প্রটেক্টটেড করে টিম বাসে উঠতে। পরনে পিপিই, মুখে জোড়া মাস্ক। গলায় ট্রাভেল স্লিপিং পিলো। মাথায় মেডিকেল ক্যাপ। পুরো দুস্তর করোনার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন সাকিব। ইনস্টাগ্রামে ওমন একটি ছবি পোস্ট করে সাকিব ক্যাপশনও দিয়েছেন, ‘করোনার সঙ্গে যুদ্ধ।’গত ২৭ মার্চ অনেকটা নীরবেই ভারতে যান সাকিব। আগেভাগে ভারতে গেলেও মাঠে নামার সুযোগ হয়নি তার। ৭ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকার পর গত শনিবার মুক্তি মিলেছে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের। এরপর থেকে দলের সঙ্গে নিয়মিত অনুশীলনও করছেন সাকিব। বর্তমানে চেন্নাইয়ে আছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। মুম্বাইয়ে পাঁচদিনের অনুশীলন শেষে সাকিবদের কলকাতা নাইট রাইডার্স আজই গিয়েছেন চেন্নাইয়ে। মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠেয় প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতেও অংশ নিয়েছেন তিনি। শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে সাকিব ব্যাটি হাতে ১০ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ রান এবং বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১ মেডেনে ৮ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।

করোনা আইপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে থাবা বসিয়েছে। বুধবার পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর চার ক্রিকেটার করোনা পজিটিভ হয়েছে। স্টেডিয়ামের বেশ কিছু মাঠকর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তাইতো নিজেকে নিরাপদে রাখতে পিপিই, মাস্ক পরেই ভ্রমণ করেছেন সাকিব।শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চতুর্দশ আসর। ১১ এপ্রিল সাকিবদের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।কলকাতার হয়েই নিজের আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সাকিব। ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে খেলেন তিনি। ২০১৮ সালে সাকিবকে ছেড়ে দেয় কলকাতা। এরপর টানা দুই মৌসুম সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএল মাতান সাকিব। পরবর্তী সময়ে আইসিসি কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত মৌসুমে সাকিবকে ছেড়ে দেয় হায়দরাবাদ।আইপিএল এ পর্যন্ত মোট ৬৩টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। ব্যাট হাতে ৪৬ ইনিংসে সাকিব করেছেন ৭৪৬ রান। হাঁকিয়েছেন ৭০টি চার ও ২০টি ছক্কা। সর্বোচ্চ ইনিংস ৬৬ রান। তার গড় ২১.৩১ ও স্ট্রাইক রেট ১২৬.৬৬। বল হাতে সাকিব নিয়েছেন ৫৯টি উইকেট। ১৭ রান ৩ উইকেট তার সেরা ফিগার। তার বোলিং ইকোনমি ৭.৪৬।