তাসকিনের ওপর নাখোশ সুজন

তাসকিনের ওপর নাখোশ সুজন


বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে মিডিয়ার সামনে এসে তাসকিন আহমেদের কান্নাকাটি করাটা ভালো চোখে দেখছেন না তাসকিনের মেন্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। ইনজুরির কারণ দেখিয়ে তাসকিনকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বাইরে রাখা হয়। তাঁর জায়গায় সুযোগ পান ওয়ানডে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি। তাসকিন ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলেছিলেন। এরপর ইনজুরি ও অফ ফর্মের কারণে দলের বাইরে ছিলেন পুরো ২০১৮ সাল। বিপিএলের মধ্য দিয়ে স্বরূপে ফিরেন তিনি। বিপিএলে সেরা বোলারদের তালিকায় শীর্ষে থেকে নিউজিল্যান্ড সিরিজের টেস্ট ও ওয়ানডে দলে জায়গা করে নেন তিনি। কিন্তু ফের ইনজুরি বাঁধার শিকার হয়ে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। বিশ্বকাপ স্কোয়াডের জন্য দল ঘোষণা করার আগে নিজের ফিটনেস ফিরে পেতে কঠোর পরিশ্রম করলেও নির্বাচকদের সন্তুষ্ট করতে ব্যর্থ হন তাসকিন। দল নির্বাচনের দিন আবেগ ধরে রাখতে না পেরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলা তাসকিন আহমেদ। একজন জাতীয় ক্রিকেটার হয়ে সবার সামনে ভেঙ্গে পড়াকে সহজ ভাবে নিচ্ছেন না ছোট বেলা থেকেই তাসকিনকে দেখে আসা সুজন, 'আমি সবসময় তাসকিনকে অন্য চোখে দেখ, খুব ছোট থেকে তাসকিনকে দেখে এসেছি। আমার কাছে ভালো লাগে নি। সে এখন বড় হয়েছে। এখন আর অনূর্ধ্ব-১৯ খেলছে না সে। খেলোয়াড়দের খারাপ সময় যাবে, আবার ভালো সময় আসবে। নির্বাচকরা একটি মাত্র কারণেই ওকে আটকে রেখেছে সেটা হচ্ছে ফিটনেসের ব্যাপারে। ‘কিন্তু যেভাবে এটা মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে আমি মনে করি এটা যে কোনো জাতীয় দলের ক্রিকেটারের জন্য মর্যাদাহানিকর। এটা শিশুসুলভ আচরণ। মানসিকতার দিক থেকে আমাদের শক্তিশালী হতে হবে। আমরা শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলি। এখানে তো অনেক কঠিন অবস্থা আসবে, এখানে যদি আপনি হেরে কাঁদেন... কঠিন অবস্থা হ্যান্ডেল করতে হবে।‘ আসন্ন বিশ্বকাপ ও আয়ারল্যান্ড সফরে জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করবেন সুজন। দল নির্বাচনের আগে অধিনায়ক ও নির্বাচকদের সাথে বৈঠকও করেছেন তিনি। ফিটনেসের সমস্যা না থাকলে তাসকিন সহজেই বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পায়, বিষয়টি পরিস্কার করে দিয়েছেন তিনি। একই সাথে তাসকিনকে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে আশা ছাড়তে বারণ করেছেন সুজন। ‘তাসকিনের ব্যাপারটা, যে কোনো খেলোয়াড়ই চায় দলে জায়গা পেতে। আমরা জানি তাসকিন ফিট থাকলে তাঁকে নেয়া হতোই। ওর মধ্যে যে সামর্থ্য আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ভালো বল করে, জোরে বল করে। আমাদের এমন একটা জোরে বোলার দরকার ছিল। কিন্তু একটা খেলোয়াড়ের মন খারাপ থাকবে, আমি খুব কাছের মানুষের সাথে বিষয় গুলো শেয়ার করব। কাছের মানুষ বলতে আমার বাবা মা, বন্ধু, পরিবার যারা খুব কাছের। কিন্তু এটা পাবলিকলি আসা ঠিক না। এখনো সময় আছে, বিশ্বকাপ কিন্তু এখনই না। তাসকিন যদি এর মধ্যে ভালো হয় তাহলে এর মধ্যে পুনরায় ভেবে দেখার একটা ব্যাপার থাকবেই।‘