বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপ খেলার প্রহর গুনছেন রাব্বি


বিশ্বকাপে খেলা অসম্ভব কিছু নয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বির জন্য। নিজেকে শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে সেভাবেই প্রস্তুত করছেন তিনি। অপেক্ষায় আছেন ডাক পাওয়ার। ইংল্যান্ডের বৈরি কন্ডিশন, সাথে দীর্ঘ সময়ের টুর্নামেন্ট। বিশ্বকাপের মূল দলে থেকে ক্রিকেটারদের ইনজুরিতে পড়া অসম্ভব নয়। সেই সুযোগের অপেক্ষায় আছেন বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের স্ট্যান্ডবাই তালিকায় থাকা ডানহাতি ব্যাটসম্যান রাব্বি, 'অবশ্যই, স্ট্যান্ডবাই আছি, যে কোন সময় ডাক আসতে পারে। আমাদের জীবনটাই অনিশ্চয়তায় ভরা, যদি কেউ ইনজুরিতে পড়ে তাহলে আমাকে যেতে হতে পারে। সেভাবে অবশ্যই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকব। যতদিন বিশ্বকাপ চলবে সে সময় আমার সম্ভাবনা থাকবে, যে কোন সময় যেতে হতে পারে,' মঙ্গলবার মিরপুরে বলেছেন রাব্বি। চলমান এইচপি ইউনিটের ক্যাম্পে নিজেকে আরও শাণিত করার কাজ হাতে নিয়েছেন তরুণ রাব্বি। সময়টা কাজে লাগিয়ে বিশ্বকাপের জন্য সম্পূর্ণ রূপে প্রস্তুত থাকতে চান তিনি। তাঁর ভাষায়, 'দেখা যাচ্ছে আমি প্রস্তুতিটা এইচপিতেই করে নিতে পারছি, এখন যদি ক্যাম্পটা না থাকতো তাহলে হয়ত বাসায় থাকতাম, চিটাগংয়ে থাকতাম, হয়ত অনুশীলন করতাম কিন্তু ঠিকভাবে অনুশীলনটা হতো না। এইচপি ইউনিটের সাথে আছি, এখানে যেভাবে অনুশীলন করতে পারব আমার প্রস্তুতিটা ওইরকমই ভালো হবে। কারণ আমি এখানে যেভাবে অনুশীলন করতে চাইব আমাকে সেভাবে অনুশীলন করাবে। সেটা যে কন্ডিশনেই হোক। আমার মনে হয় এইচপির সাথে কাজ করা আমার জন্য ভালো হবে। যদি জাতীয় দলের জন্য ডাক দেয় তাহলে আমি ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে পারব।' বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সবার নজরে এসেছিলেন রাব্বি। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ১১ ম্যাচ ব্যাটিং করেছেন তিনি। ১২৪.২৯ স্ট্রাইক রেট ৩০৭ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। তিনটি অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন বিপিএলে, যেখানে ৭৮ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে দুর্দান্ত ছিলেন রাব্বি। ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে খেলা এই ব্যাটসম্যান দলের মিডেল অর্ডারের দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যাট হাতে ১৩ ম্যাচে ১১ ইনিংসে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ৭৩.০৫ গড়ে ৪৪১ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। একটি শতক এবং দুটি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন এই ডানহাতি। যেখানে ১০৬ রানের ইনিংস ছিল তাঁর সর্বোচ্চ। পারফর্মেন্স দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের স্কোয়াডেও ছিলেন তিনি। মাঠে নামার সুযোগ না হলেও প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলের সাথে ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করার অভিজ্ঞতা হয়েছে রাব্বির। যা তাঁকে অনেক বড় সাহায্য করবে, বিশ্বাস ২৩ বছর বয়সী রাব্বি, 'আলহামদুলিল্লাহ, জাতীয় দলের সাথে ছিলাম আমার দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। কারণ এমন অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সাথে ড্রেসিং রুম শেয়ার করা, ওরা কিভাবে খেলে, এতজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সাথে আমার আগে কখনও থাকা হয়নি। ওদের কাছ থেকে যে জিনিসগুলো শিখতে পেরেছি, যেভাবে ওরা খেলে, যেভাবে ওরা মাইন্ড সেট আপ করে এই জিনিসগুল আমার ভবিষ্যতে অনেক কাজে লাগবে।'